ঢাকা,মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

ঈদগাঁওতে কোচিং বানিজ্য জমজমাট : সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব

choching businesssএম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::

জেলা সদরের বানিজ্যিক উপ শহর খ্যাত ঈদগাঁও বাজার সহ পাশ্বর্বতী এলাকায় জমজমাট আকার ধারন করছে কোচিং বানিজ্য। এতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করার তারা আরো সামনে অগ্রসর হচ্ছে । প্রাপ্ত তথ্য মতে, ককসবাজার সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজার, বাসষ্টেশনসহ পাশ্বর্বতী বিভিন্ন ভাড়া বাসায় দেদারছে চলছে হরেক রকমের নামে বেনামে তথাকথিত কোচিং সেন্টার। এসব কোচিং সেন্টারে দৈনিক কমপক্ষে দুবার করে নানা স্কুল – কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করা হয়। এমনকি অসংখ্য ছাএদের মেধা বিকাশের নামে সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে ওঠেছে নানা নামের কোচিং সেন্টার। সকাল/বিকেলে কোচিং সেন্টারগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভীড় যেন লেগেই থাকে। এক ব্যাচ শেষ হতে না হতেই অন্য ব্যাচ প্রবেশ করেছে কোচিংয়ের কক্ষে। এসব কোচিং সেন্টারগুলো বর্তমানে ছোট্র স্কুলে পরিনত হয়ে পড়েছে। আবার ঈদগাঁওতে নানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া অসংখ্য ছাএছাএী প্রতিনিয়ত স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্টানের নির্ধারিত ক্লাস শেষে ছুটির পর প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টার মুখী হতে দেখা যায়। এমনকি প্রাইভেট শেষ করে তারা প্রায়শ সন্ধ্যার দিকে বাড়ীমুখী হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা প্রিয় বিদ্যালয়কে গুরুত্ব না দিয়ে, কোচিং সেন্টারকে বেশিভাগই গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রাইমারী বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহু ছাএছাএীদেরকে সকাল বেলায় কোচিং সেন্টারে আসতে দেখা যায়। তারা সেটি শেষ করে আবার স্কুলমুখী হবে। সে সময় নির্ধারন করে বাড়ী থেকে প্রতিদিন বের হয়ে থাকে। অপরদিকে হরেক রকম সুবিধা সম্বলিত লিপলেট ও ছাড়ছে কোচিং সেন্টার কতৃপক্ষ। তাতে লোভে পড়ে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার স্বপ্ন নিয়ে  প্রাইভেটমুখী হচ্ছে ও অনেকে। সচেতন অভিভাবকবৃন্দের মতে, ছেলে মেয়েরা যদি প্রতিদিন স্কুলমুখী হয়ে দৈনিক বিদ্যালয়ের পড়া বিদ্যালয়ে আদায় করতো, তাহলে ভাল মানের পড়ালেখার স্বার্থে আর কোচিং সেন্টারগুলোতে রীতিমত হানা দিতে হতনা। তাতেই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এমনিতে দক্ষ ও আর্দশবান একজন ছাএ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতো। বর্তমান সমাজে স্কুলের বিপরীত হয়ে মিনি বিদ্যালয়ে পরিনত করে তুলছে কোচিং সেন্টার। এছাড়াও একজন শিক্ষার্থী নিজের স্কুল শেষে প্রাইভেট তারপর সন্ধ্যার দিকে প্রিয় গন্তব্য বাড়ীমুখী হচ্ছে। তার কিন্তু বিকেলে বিনোদন কিংবা খেলাধুলার সুযোট টাও হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে ইত্যাদিতে পুরুষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল ইসলাম দেশ বিদেশের এ প্রতিনিধিকে জানান, কোচিং বন্ধে সরকারী ভাবে নির্দেশনা থাকলেও এখানে দেদারছে রয়েছে। কোচিংয়ের ফলে শিক্ষার্থীরা নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। এলাকা থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ এখন সময়ের গনদাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কলামিষ্ট ও সংগঠক কাফি আনোয়ার জানান, শিক্ষা ক্ষেএে বৈষম্য হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট মুখী করা হচ্ছে। অসহায় ও গরীব পরিবারের সন্তানরা ভাল মানের লেখাপড়া থেকে বাদ যাচ্ছে। অচিরেই ঈদগাঁও থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হোক। এলাকার সুশীল সমাজ, ঈদগাঁওতে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে অবস্থান করা কোচিং সেন্টার গুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্বধ্বর্তন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন। এদিকে কয়েকজন কোচিং সেন্টার কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: